ইংরেজি

Claim Assistance
Get In Touch
Bike Maintenance Tips
জুন 7, 2017

টু হুইলারের রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে যে 10টি টিপস প্রত্যেক রাইডারের জানা উচিত

আমাদের টু হুইলার হল আমাদের দক্ষ এবং নিবেদিত সাহায্যকারী. এরা যেকোনও ধরনের চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে আমাদের সাথে থাকে, তা হোক না যানজট পূর্ণ রাস্তা বা পাথুরে রাস্তা, আমরা আমাদের টু হুইলার সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করি এবং যাচ্ছে তাই ভাবে ব্যবহার করি. এরা আমাদের অনেক সময় বাঁচিয়ে দেয় এবং রাস্তায় আমাদের যাত্রাকে আরামদায়ক এবং মসৃণ করে তোলে. যখন কোনও কিছু আমাদের জন্য এত কিছু করে তখন এটিও গুরুত্বপূর্ণ যে আমরাও যেন এটিকে সম্মান করি. শুধুমাত্র টু হুইলার ইনস্যুরেন্স কেনাই নয় , নিয়মিতভাবে বাইকের বিভিন্ন অংশের রক্ষণাবেক্ষণ করা এবং যত্ন নেওয়া হল বাইকের প্রতি ভালোবাসা দেখানোর সেরা উপায়. আপনার বাইক যাতে মসৃণভাবে চলতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য কিছু উপযোগী টিপস এখানে দেওয়া হল: ইঞ্জিন অয়েল চেক করা - সবসময় ইঞ্জিন অয়েলের সঠিক লেভেল মেইনটেইন করুন, এটি প্রতি 3000-5000 km চলার পর পরিবর্তন করুন কারণ কার্বন জমা হতে থাকে. যদি এটি সময়মত পরিবর্তন না করা হয় তাহলে ইঞ্জিন কাজ করার জন্য আরও বেশি অয়েল ব্যবহার করা শুরু করতে পারে. টায়ার চেক করা - বাইক রক্ষণাবেক্ষণ প্রক্রিয়ার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হল সপ্তাহে কমপক্ষে একবার টায়ার চেক করা. আমাদের সবসময়ই নিয়মিত ব্যবহারের মাধ্যমে হওয়া ক্ষয়, ক্র্যাক বা ছিদ্রের জন্য টায়ার চেক করা উচিত. উপরোক্ত জিনিসগুলি চেক করার পাশাপাশি, নিয়মিতভাবে হুইল ব্যালেন্স এবং অ্যালাইনমেন্ট চেক করুন. বাইকের চেন - বাইকের চেন লুজ হওয়া যাবে না এবং ভাল মতো অয়েল লাগানো থাকতে হবে. এগুলির জন্য অন্য আর কোনও যত্নের প্রয়োজন নেই কারণ এগুলি কোনও রিপ্লেসমেন্ট ছাড়াই 30,000 কিমি যেতে পারবে. ফর্ক অয়েল - ফর্ক অয়েল স্পিড ব্রেকার এবং উঁচুনিচু রাস্তায় বাইকটিকে সুরক্ষিত রাখে. এটি মাঝে মাঝেই চেক করা উচিত এবং মেকানিকের পরামর্শ অনুযায়ী মেরামত করা উচিত. ব্রেক প্যাড - ব্রেক প্যাডের উপর সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন কারণ এর উপর বাইক চালানো নির্ভর করে. তাই, প্রতি 7000-10000 কিলোমিটার চলার পর এবং যখনই সেগুলি 2 মিমি থেকে পাতলা হয়ে যায় তখনই ব্রেক প্যাড চেক করার পরামর্শ দেওয়া হয়. এয়ার ফিল্টার - অতিরিক্ত দূষণের কারণে ভারতে এয়ার ফিল্টার খুব সহজেই বন্ধ হয়ে যায়. সুতরাং, এয়ার ফিল্টার নিয়মিতভাবে পরিবর্তন করা উচিত. ব্যাটারির রক্ষণাবেক্ষণ - সাধারণত, ব্যাটারি দুই বছর টেকসই হয়, সেগুলি সবসময় চার্জ অবস্থায় থাকতে হয়. মেকানিক এই ব্যাটারি চেক এবং রিভিউ করার পর যদি বলে যে এর শেল্ফ লাইফ শেষ হয়ে গেছে তাহলে এটি রিপ্লেস করা যেতে পারে. ক্লাচ অ্যাডজাস্টমেন্ট - গিয়ার পরিবর্তন করার জন্য ক্লাচ ব্যবহার করা হয়, তাই এটি অনেক বেশি ব্যবহার করা হয়. এটি সবসময় ভালভাবে অ্যাডজাস্ট করে রাখতে হয় এবং খুব বেশি চাপ দিয়ে ধরে রাখা উচিত নয়. ক্লাচ অতিরিক্ত শক্ত হলে আপনি স্লিপ করতে পারে এবং প্রচুর ফুয়েল খরচ হতে পারে. স্পার্ক প্লাগ - এটি প্রতি 6000-12000 কিমি চলার পর চেক করতে হয়. ক্লাচ চেক করা না হলে এর ফলে প্রযুক্তিগত অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে. রাইডিং-এর গতি - আপনার বাইক ভালো অবস্থায় রাখার সর্বোত্তম পদ্ধতি হল সর্বদা 40-60 কিলোমিটার স্পিডে বাইক চালানো. এটি আপনার বাইকটিকে কেবল সচলই রাখে না বরং ফুয়েল খরচও কমিয়ে দেয়. গাড়ি কেনা কেবল সূচনা মাত্র. আপনি এটির ব্যবহার শুরু করার পরই শুরু হয় আসল যত্ন. আমরা আমাদের সাধ্যের বাইরে গিয়েও বাইককে ভাল অবস্থায় রাখতে চেষ্টা করি, আমরা যেহেতু এত কিছু করি তাই আমাদের এটিও অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে টু হুইলারের জন্য ইনস্যুরেন্সও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ. একটি থার্ড পার্টি টু হুইলার ইনস্যুরেন্স কভার নেওয়া বাধ্যতামূলক কিন্তু দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতির ক্ষেত্রে বাইকের পাশাপাশি আপনার ক্ষতির জন্য হওয়া খরচ থেকে আপনাকে রক্ষা করার জন্য একটি কম্প্রিহেন্সিভ ইনস্যুরেন্স কেনার পরামর্শও দেওয়া হয়.

এই প্রবন্ধটি কি সহায়ক ছিল? একে রেটিং দিন

গড় রেটিং 5 / 5 ভোটের সংখ্যা: 18

এখনও পর্যন্ত কোনও ভোট নেই ! প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এই পোস্টে রেটিং দিন.

এই প্রবন্ধটি পছন্দ?? আপনার বন্ধুদের সাথে এটি শেয়ার করুন!

আপনার ভাবনা শেয়ার করুন. নীচে একটি কমেন্ট লিখুন!

  • Vicky - July 22, 2017 at 6:28 pm

    great , helpful information.

একটি উত্তর দিন

আপনার ইমেল অ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না. সমস্ত ক্ষেত্র প্রয়োজনীয়