ভারতে ইলেকট্রিক গাড়ির উত্থান হল একটি অভূতপূর্ব ঘটনা. বিশ্বের চতুর্থ-বৃহত্তম অটোমোবাইল মার্কেট হিসাবে, ইলেকট্রিক গাড়ির ইন্ডাস্ট্রিতে ভারতের একটি প্রধান অংশগ্রহণকারী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে. ভারত সরকার বৈদ্যুতিকভাবে গতিশীল হওয়ার দিকে জোর দিয়েছে এবং ইনসেন্টিভ ও ভর্তুকির সুবিধা প্রদান করার মাধ্যমে কাস্টমারদের কাছে ইলেকট্রিক গাড়িগুলি ধীরে ধীরে অ্যাক্সেসযোগ্য করে তুলেছে. পরিবেশগত সমস্যার ক্ষেত্রে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পরিবহণ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের প্রয়োজনীয়তাও ভারতে দিন দিন ইলেকট্রিক গাড়ির জনপ্রিয়তায় বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে. এই আর্টিকেলে, আমরা ভারতে ইলেকট্রিক গাড়ি চালানোর কম খরচ, পরিবেশগত সুবিধা, সরকারি ভর্তুকি,
ইলেকট্রিক ভেহিকেল ইনস্যুরেন্স এর সুবিধা এবং তেলের উপর নির্ভরশীলতা হ্রাস সহ ভারতে ইলেকট্রিক গাড়ি কেনার সুবিধাগুলি সম্পর্কে জানব. যদি আপনি একটি ইলেকট্রিক গাড়ি কেনার কথা বিবেচনা করেন, তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনাকে সবকিছু জেনে শুনে একটি সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করবে. সুতরাং, আসুন, ভারতে ইলেকট্রিক গাড়ির মার্কেট সম্পর্কে যাবতীয় কিছু জেনে নেওয়া যাক!
ইলেকট্রিক গাড়ি কেনার সুবিধা
ইলেকট্রিক গাড়ি কেনার কয়েকটি সুবিধা এখানে দেওয়া হল:
· চালানোর কম খরচ
ইলেকট্রিক গাড়ির মালিক হওয়ার সবচেয়ে বড় সুবিধাগুলির মধ্যে একটি হল এটি চালানোর খরচ কম. ইলেকট্রিক গাড়িগুলি পেট্রল চালিত গাড়িগুলির তুলনায় বেশি কার্যক্ষম এবং এগুলি পরিচালনার ক্ষেত্রে খরচ কম. একটি পেট্রল চালিত গাড়ি রিফুয়েল করার চেয়ে ইলেকট্রিক গাড়ি চার্জ করা অনেক সস্তা. এছাড়াও, ইলেকট্রিক গাড়ির জন্য কম মেইন্টেন্যান্সের প্রয়োজন হয়, যার ফলে অনেক দিন ব্যবহারের পরও মেরামত খরচ কম হয়. সুতরাং, কয়েক বছরের মধ্যে ইলেকট্রিক গাড়ি রাখার মোট খরচ পেট্রল চালিত গাড়ির তুলনায় কম হয়ে যায়. এছাড়াও, এটি ব্যবহারের খরচ কম হওয়ায়
ইলেকট্রিক কার ইনস্যুরেন্স কেনা সহজ হবে.
· পরিবেশগত সুবিধা
ইলেকট্রিক গাড়ির কেনার অন্য আরেকটি প্রধান সুবিধা হল পরিবেশের উপর এর ইতিবাচক প্রভাব. পেট্রল চালিত গাড়ির মতো ইলেকট্রিক গাড়ি থেকে কোনও ধোঁয়া নির্গত হয় না ফলে এটি বায়ু দূষণ কমাতে সাহায্য করে. এটি ভারতে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এখানে বায়ু দূষণ হল প্রধান একটি সমস্যা. একটি ইলেকট্রিক গাড়ি চালানোর মাধ্যমে আপনি কার্বন নির্গমন হ্রাস করতে এবং ভারতকে একটি পরিষ্কার এবং সবুজ দেশে পরিণত করতে পারেন. এছাড়াও, ভারত সরকার ভারতের রাস্তায় ইলেকট্রিক গাড়ির সংখ্যা বাড়ানোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে. এটি পরিবহন খাতের কার্বন নির্গমন উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করবে.
· সরকারি ভর্তুকি
ভারত সরকার ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যবহারের প্রচারণা চালানোর জন্য ভারতে ইলেকট্রিক গাড়ির উপর বিভিন্ন ধরনের সাবসিডি প্রদান করে. এর মধ্যে রয়েছে ব্যক্তিগতভাবে ইলেকট্রিক গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে ক্রেতাদের জন্য ক্রয় মূল্যের উপর 50% সাবসিডি, ট্যাক্স ব্রেক এবং ছাড়. এছাড়াও, সরকার ইলেকট্রিক গাড়ি চার্জ করার অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ইনসেন্টিভ প্রদান করে, যা একটি ইলেকট্রিক গাড়ির মালিক হওয়া আরও বেশি সহজ এবং সুবিধাজনক করে তোলে. ইউনিয়ন বাজেট 2021-22 অনুযায়ী, সরকার ভারতে 2 পর্যায়ের এফএএমই (ভারতে ইলেকট্রিক গাড়িগুলি দ্রুত গ্রহণ এবং উৎপাদন) স্কিমের জন্য ₹800 কোটি বরাদ্দ করেছে
1. এই স্কিমটির লক্ষ্য হল ভারতে ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যবহারের প্রচারণা করা. আশা করা হচ্ছে যে, দেশে ইলেকট্রিক গাড়ির সংখ্যা আরও বৃদ্ধি এবং কাস্টমারদের জন্য এগুলি আরও বেশি অ্যাক্সেসযোগ্য করা হবে. এছাড়াও, এই ভর্তুকিগুলি সহায়ক হতে পারে কারণ আপনি আরও বেশি খরচ করে কিনতে পারবেন একটি
ইলেকট্রিক কমার্শিয়াল ইনস্যুরেন্স .
· ইনস্যুরেন্সের সুবিধা
ইলেকট্রিক গাড়ির জন্য ইনস্যুরেন্সের ক্ষেত্রে কিছু নির্দিষ্ট সুবিধাও রয়েছে. যেহেতু ইলেকট্রিক গাড়িগুলির দুর্ঘটনার ঘটার সম্ভাবনাপূর্ণ এবং কম মেইন্টেন্যান্সের প্রয়োজন হয়, তাই পেট্রল চালিত গাড়ির তুলনায় সাধারণত ইলেকট্রিক গাড়ির জন্য ইনস্যুরেন্স প্রিমিয়াম কম হয়. এছাড়াও, কিছু কিছু ইনস্যুরেন্স কোম্পানি বিশেষ ইলেকট্রিক কার ইনস্যুরেন্স পলিসি অফার করে যা ব্যাটারির ক্ষতির জন্য কভারেজ প্রদান করে, যা সাধারণত কভার করা হয় না
কার ইনস্যুরেন্স পলিসিগুলি. এছাড়াও, ইলেকট্রিক কার ইনস্যুরেন্স পলিসিগুলি পার্সোনাল অ্যাক্সিডেন্ট কভারের মতো অ্যাড-অন কভার অফার করে এবং
থার্ড-পার্টি লায়াবিলিটি কভার, যা পলিসিহোল্ডারকে অতিরিক্ত সুরক্ষা প্রদান করে.
· ফুয়েলের দামের উপর কম নির্ভরশীলতা
ইলেকট্রিক গাড়ি চালানোর জন্য বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়. নবায়নযোগ্য উৎসের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়. এটি ফুয়েলের উপর নির্ভরশীলতা হ্রাস করে, যা প্রধান একটি সুবিধা. আপনি যদি ফুয়েলের উপর কম নির্ভর করেন, তাহলে আপনাকে পেট্রোল বা ডিজেলের মূল্য সম্পর্কে খুব বেশি চিন্তা করতে হবে না. ফলে আপনি লং-রানে একটি বিশাল অঙ্কের টাকা সেভ করতে পারবেন.
উপসংহার
পরিশেষে বলা যায় যে, ভারতে একটি ইলেকট্রিক গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে যেমন, চালানোর জন্য কম খরচ, পরিবেশগত সুবিধা, সরকারি ভর্তুকি, ইলেকট্রিক গাড়ির ইনস্যুরেন্সের সুবিধা এবং বিদেশী ফুয়েলের উপর কম নির্ভরশীলতা. সরকারের দ্বারা বিদ্যুতের ব্যবহার বৃদ্ধি করতে উৎসাহিত করা এবং বিভিন্ন ধরনের ইনসেন্টিভ এবং সাবসিডির সুবিধা দেওয়ার কারণে ভারতের কাস্টমারদের জন্য ইলেকট্রিক গাড়ির দিন দিন আরও বেশি অ্যাক্সেসযোগ্য হয়ে উঠছে. ইলেকট্রিক গাড়ির মার্কেট বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে ব্যাটারি এবং অন্যান্য উপাদানের খরচ হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা আগামী বছরগুলিতে ইলেকট্রিক গাড়িগুলিকে আরও বেশি সাশ্রয়ী করে তুলবে. উপরে উল্লিখিত সুবিধাগুলি ছাড়াও, ইলেকট্রিক গাড়িগুলি পেট্রল চালিত গাড়ির তুলনায় অন্যান্য আরও অনেক সুবিধাও অফার করে. উদাহরণস্বরূপ, ইলেকট্রিক গাড়িগুলির শব্দ অত্যন্ত কম হয় এবং এটি মসৃণভাবে চলে যা যাত্রীদের জন্য বেশ আরামদায়ক রাইড প্রদান করে. এছাড়াও, ইলেকট্রিক গাড়িগুলিতে তাৎক্ষণিক টর্ক সুবিধা রয়েছে, যার অর্থ হল এগুলি খুব দ্রুত এবং দক্ষভাবে গতি বৃদ্ধি করতে পারে. এই সুবিধাটি এগুলিকে শহরে চালানোর জন্য আদর্শ করে তোলে. এর কারণ হল শহরগুলিতে সাধারণত অত্যধিক ট্রাফিক থাকে ফলে ঘন ঘন থামার প্রয়োজন হয়.
ইনস্যুরেন্স হল একটি আগ্রহের বিষয়. লাভ, বাদের তালিকা, সীমাবদ্ধতা, নিয়ম এবং শর্তাবলী সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য, অনুগ্রহ করে সেলস সম্পন্ন করার আগে বিক্রয় সম্পর্কিত ব্রোশিওর/পলিসির শব্দাবলী সাবধানে পড়ুন.
একটি উত্তর দিন