ড্রাইভিং লাইসেন্স হল এমন একটি বাধ্যতামূলক ডকুমেন্ট যা ভারতীয় রাস্তায় টু-হুইলার বা ফোর-হুইলার চালানোর জন্য আপনার কাছে অবশ্যই থাকতে হবে. এই গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টটি ভারত সরকার কর্তৃক ইস্যু করা হয় এবং রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অফিসের (আরটিও) মাধ্যমে পরিচালিত হয়. ভারতে, আপনি 16 বছর বয়সে একটি অস্থায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করার মধ্যে দিয়ে একটি ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা শুরু করতে পারে, যা পরবর্তীতে 18 বছর বয়স হওয়ার পর পার্মানেন্ট লাইসেন্সে রূপান্তর করা যাবে. তবে, ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আপনাকে কিছু নির্দিষ্ট ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে এবং ড্রাইভিং টেস্টের জন্য উপস্থিত হতে হবে.
ভারতে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য নিম্নলিখিত ডকুমেন্টগুলি প্রয়োজন হয়:
- বয়সের প্রমাণ
- জন্ম শংসাপত্র
- প্যান কার্ড
- পাসপোর্ট
- 10th ক্লাসের মার্কশিট
- স্কুল ছাড়ার সার্টিফিকেট (ট্রান্সফার সার্টিফিকেট) যাতে জন্ম তারিখ উল্লেখ করা আছে
- ঠিকানার প্রমাণ
- আধার কার্ড
- পাসপোর্ট
- বিদ্যুতের বিল
- ভোটার আইডি কার্ড
- ভাড়ার চুক্তিপত্র
- গ্যাস বিল
- যথাযথভাবে পূরণ করা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- একজন সার্টিফায়েড সরকারী ডাক্তারের ইস্যু করা ফর্ম 1এ এবং 1
- অ্যাপ্লিকেশনের ফী
ভারতীয় রাস্তায় বিশৃঙ্খলা এবং দিন দিন বেড়ে যাওয়া দুর্ঘটনার কথা বিবেচনা করে ভারত সরকার কিছু ড্রাইভিং এবং ট্রাফিক নিয়ম পরিবর্তন করার প্ল্যান করছে. এই নিয়মগুলি সংশোধন করার ফলে অত্যধিক ব্যস্ত রাস্তায় গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে মানুষ আরও নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলবে বলে আশা করা হচ্ছে. এর একটি পদক্ষেপ হিসাবে, ভারতের সড়ক পরিবহন ও হাইওয়ে মন্ত্রক ভারতে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে আধার কার্ড কে বাধ্যতামূলক ডকুমেন্টে পরিণত করার জন্য লোক সভায় একটি বিল প্রস্তাব করেছে. বিলটি ট্রাফিকের নিয়ম লঙ্ঘনকারী ব্যক্তিদের উপর মোটা অঙ্কের জরিমানা আরোপ করার এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার প্রক্রিয়াটি ডিজিটালভাবে করার জন্যও প্রস্তাব করে. এই বিলটি ইতিমধ্যে লোক সভায় পাস হয়েছে এবং এখন রাজ্য সভার সদস্যদের কাছ থেকে অ্যাপ্রুভালের জন্য অপেক্ষা করছে. সুতরাং, হ্যাঁ, ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করার সময় হয়ত আপনাকে খুব শীঘ্রই আপনার আধার কার্ড জমা দিতে হতে পারে. এছাড়াও মনে রাখবেন যে, ভারতীয় রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় একটি বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াও আপনার কাছে একটি মোটর ইনস্যুরেন্স পলিসিও থাকতে হবে. একটি কম্প্রিহেন্সিভ
টু হুইলার ইনস্যুরেন্স অথবা
কার ইনস্যুরেন্স পলিসি যাতে যে কোনও দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার ক্ষেত্রে আপনি সুরক্ষিত থাকেন.
Very informative