নতুন বাইক কেনা সবসময় একটি রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা, বিশেষত ছেলেদের জন্য. কিশোর বয়স থেকেই, প্রত্যেক ছেলে তার প্রথম বাইক পাওয়ার এবং সারা শহরে এটি চালানোর স্বপ্ন দেখেন. সময়ের সাথে, প্রত্যেক ব্যক্তির বুদ্ধি বাড়ে এবং তাদের ছোটবেলার স্বপ্নগুলি তারা ভুলে যায়. কিন্তু এটি ছেলেদের এবং তাদের বাইকিং-এর ব্যাপারে ঘটে না. এমনকি বাইক কেনার উত্তেজনার স্তর একটি ছোট বাচ্চার মতই থাকে. সুতরাং যখন আপনি অবশেষে আপনার ছোটবেলার স্বপ্ন বাইক কেনার স্বপ্ন পূরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তখন এমন একটি বাইক কেনার কথা বিবেচনা করা প্রয়োজন যা আপনার বাজেটের মধ্যে এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয়তাগুলি পূরণ করে. এখন আপনি যখন এই পেজে পৌঁছেছেন, তখন নিশ্চিত ভাবেই আপনি নিজেকে জিজ্ঞাসা করছেন যে, মোটরসাইকেল কেনার আগে আমার কোন বিষয়গুলি জানতে হবে? এটি একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এবং এই ব্লগের মাধ্যমে, আমরা আপনাকে মোটরসাইকেল কেনার আগে কী জানতে হবে সেই বিষয়গুলি সম্পর্কে সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্যগুলি বুঝতে সাহায্য করব. আসুন আমরা শুরু করি.
কোন ধরনের বাইক কিনবেন তা বিবেচনা করতে হবে
বাইক কেনার আগে আপনাকে নিজেকে জিজ্ঞাসা করতে হবে এমন মৌলিক প্রশ্ন হল বাইকের সাথে আপনি কোন ধরনের রাইডিং করতে চান. বিভিন্ন ধরনের মোটরসাইকেল একটি নির্দিষ্ট ধরনের রাইডিং করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে. তিনটি প্রাথমিক বিভাগ বা বাইকের স্টাইল হল:
1. স্ট্রিট বাইক
এগুলি হল সবচেয়ে সাধারণ এবং প্রচলিত
বাইকের ধরন ভারতে. তারা সাধারণত একটি কনফাইনড বডি ডিজাইন অফার করে এবং সেরা ফুয়েল এফিশিয়েন্সি দেওয়ার জন্য সুসজ্জিত. এগুলি বিভিন্ন ট্রাফিক পরিস্থিতিতে পরিচালনা করা সহজ এবং যারা নিয়মিত বাইকে যাতায়াত করেন তারা পছন্দ করেন.
2. স্পোর্টস বাইক
তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বাইকের এই বিভাগের উচ্চ জনপ্রিয়তা রয়েছে. স্পোর্টস বাইকের ক্রিয়েটিভ ডিজাইন রয়েছে এবং আরও বেশি গতি অর্জনের জন্য টিউন করা হয়েছে. এই বাইকগুলি বেশিরভাগ কলেজ যাওয়ার শিক্ষার্থী এবং হাই-স্পিড রাইডারদের দ্বারা পছন্দ করা হয়. তবে, তাদের আরাম এবং স্টোরেজ স্পেস নেই.
3. ক্রুইজার বাইক
ক্রুজার বাইকের একটি এর্গোনোমিক ডিজাইন রয়েছে এবং অত্যন্ত আরামদায়ক. এগুলির শক্তি অনেক বেশি এবং শহরের চারপাশে সপ্তাহান্তের ভ্রমণের জন্য এগুলি সঠিক. এই বাইকগুলি আরামদায়ক, এবং যদি আপনি স্টাইলের থেকে বেশি আরাম পছন্দ করেন, তাহলে এটাই আপনার দরকার.
ভারতে একটি নতুন বাইক কেনার আগে যে 5টি জিনিস চেক করতে হবে
একটি নতুন বাইক কেনার সময় বিভ্রান্ত হতে পারেন. তাই, প্রদত্ত পয়েন্টারগুলি আপনাকে উত্তর দেবে যে, মোটরসাইকেল কেনার আগে কী কী জানতে হবে?
1. আপনার ইঞ্জিনের সাইজ জানুন
ইঞ্জিনের ক্ষমতা হল এমন একটি প্রয়োজনীয় জিনিস যা আপনাকে একটি নতুন বাইক কেনার সময় মনে রাখতে হবে. ইঞ্জিনের সাইজ কিউবিক সেন্টিমিটার (সিসি) এ পরিমাপ করা হয় এবং মোটরসাইকেলের ক্ষমতা নির্দেশ করে. নিম্নলিখিতগুলি মনে রাখবেন:
- যত পাওয়ার বেশি হবে, আপনার বাইকও তত ব্যয়বহুল হবে.
- নিয়মিত যাতায়াতের জন্য, এমন একটি বাইক বিবেচনা করুন যার ইঞ্জিনের আকার 125সিসি -250সিসি.
2. বাইকের উচ্চতা এবং ওজন বিবেচনা করুন
বাইক কেনার সময় বেশিরভাগ মানুষ বাইকের উচ্চতা এবং ওজন বিবেচনা করে না. ভাল নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাপত্তার জন্য, এটি অত্যাবশ্যক যে আপনার পা যেন আরামদায়কভাবে ভূমি স্পর্শ করে. এছাড়াও, বাইকটি অত্যধিক ওজনের হওয়া উচিত নয় কারণ এর ফলে কম গতিতে বাইকের অসামঞ্জস্য হতে পারে. সুতরাং, আপনি যে বাইকটি কিনছেন সেটি যাতে উচ্চতা এবং মাশল পাওয়ারের সাথে ম্যাচ করে তা নিশ্চিত করুন যাতে আপনার রাইড মসৃণ হয়.
3. বাইকের ফুয়েল এফিশিয়েন্সি
নতুন বাইক কেনার সময় ফুয়েল এফিশিয়েন্সি হল বিবেচনা করার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক. আপনি এমন কোনও বাইক কিনতে চাইবেন না যার ফুয়েল এফিশিয়েন্সি খুবই কম এবং বাইকের ট্যাঙ্ক ভরতে আপনার বেশিরভাগ টাকা খরচ হয়ে যাবে. যে বাইকের ইঞ্জিনের ক্ষমতা বেশি, সাধারণত সেগুলি বাইকের ইঞ্জিনকে দক্ষভাবে চালানোর জন্য অনেক বেশি জ্বালানী ব্যবহার করে. আপনি আপনার বাইক ভীষণ উঁচু পাহাড়ি এলাকায় রাইড করার জন্য ব্যবহার না করেন, তাহলে মডারেট পাওয়ার সহ বাইক কেনার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা অনেক বেশি ফুয়েল এফিশিয়েন্সি দেয়.
4. আপনার বাইকের জন্য ইনস্যুরেন্স পাওয়া
বাইক কেনার সময় আপনাকে কেবল একমাত্র বাইকের জন্য টাকা খরচ করলেই হবে না. তার সাথে অবশ্যই
বাইক ইনস্যুরেন্স কিনুন ট্রাফিক আইনের পরিমন্ডলে থাকার জন্য. এছাড়াও, ইনস্যুরেন্স নেওয়া একটি অসাধারণ সুবিধা কারণ এটি আপনার বাইককে যে কোনও ধরনের ফিন্যান্সিয়াল ক্ষতি থেকে রক্ষা করে. বাইক ইনস্যুরেন্স আপনাকে কভার করতে সাহায্য করতে পারে:
- বাইকের যে কোনও ক্ষতি.
- বাইকের চুরি.
- দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে থার্ড পার্টির গাড়ির কোনও ক্ষতি হলে.
আপনি পেতে পারেন
টু হুইলার ইনস্যুরেন্স বাজাজ ইনস্যুরেন্স থেকে অনলাইনে যুক্তিসঙ্গত মূল্যে.
5. অধিগ্রহণ এবং রক্ষণাবেক্ষণ খরচ
বাইকের কেনার আসল খরচ ছাড়াও তার রক্ষণাবেক্ষণের খরচ অবশ্যই বিবেচনা করুন. প্রতিটি গাড়ি যাতে মসৃণ ভাবে চলাচল করে তার জন্য কিছু নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা প্রয়োজন. সাধারণত, আপনার বেছে নেওয়া বাইকের উপর নির্ভর করে বাইকের গড় সার্ভিস খরচ ₹1000 - 3000 হয়.
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী
1. অনলাইনে একটি টু হুইলার ইনস্যুরেন্স কেনার জন্য কত টাকা খরচ হয়?
এই
বাইক ইনস্যুরেন্সের মূল্য একটি নতুন বাইকের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ফ্যাক্টরের উপরে নির্ভর করে, যেমন কোন শহরে বাইকটি রেজিস্টার করা হয়েছে, বাইকের খরচ, থার্ড পার্টি ইনস্যুরেন্স নাকি কম্প্রিহেন্সিভ ইনস্যুরেন্স ইত্যাদি.
2. একটি নতুন বাইক কেনার জন্য কী কী ডকুমেন্ট প্রয়োজন?
ভারতে একটি নতুন বাইক কেনার জন্য আপনার পরিচয় প্রমাণ, ঠিকানার প্রমাণপত্র এবং দুটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি প্রয়োজন.
উপসংহার
এখন আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন যে, মোটরসাইকেল কেনার আগে আমার কোন বিষয়গুলি জানা উচিত? উপরে উল্লিখিত সমস্ত বিষয়গুলি বিবেচনা করার মাধ্যমে আপনি একটি নতুন বাইক কেনার বিষয়ে গবেষণা শুরু করতে পারেন. মনে রাখবেন, শুধুমাত্র বাইকের ডিজাইন দেখলেই হবে না এবং নিশ্চিত করুন যেন বাইকটি আপনার সাইজ অনুযায়ী সঠিক হয় এবং আপনার সমস্ত প্রাথমিক প্রয়োজনীয়তাগুলি পূরণ করে.
একটি উত্তর দিন