সাইবার ইনস্যুরেন্সের অধীনে ম্যালওয়্যার অ্যাটাক

ম্যালওয়্যার অ্যাটাক কী?

ম্যালওয়্যার অ্যাটাক হল একটি সাইবার আক্রমণ যেখানে ক্ষতিকর বা ম্যালওয়্যার সফ্টওয়্যার আক্রান্ত ব্যক্তির ইলেকট্রনিক ডিভাইসে, তার অজান্তেই কিছু নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদন করে. ম্যালওয়্যার আপনার ডিভাইসের হার্ডওয়্যারের কোনও ক্ষতি করতে পারে না কিন্তু আপনার ডেটা চুরি, এনক্রিপ্ট বা স্থায়ীভাবে মুছে ফেলতে পারে এবং এমনকি আপনার অনুমতি ছাড়াই আপনার কম্পিউটারের যাবতীয় কার্যকলাপের প্রতিও নজর রাখতে পারে.

উদাহরণস্বরূপ, ওয়ানাক্রাই ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক ম্যালওয়্যার অ্যাটাক হিসাবে পরিচিত, যা 2017 সালের মে মাসে 150টি দেশের 2 লক্ষেরও বেশি কম্পিউটারকে আক্রান্ত করেছিল. উইন্ডোজের পূর্ববর্তী সংস্করণে নিরাপত্তাজনিত সমস্যার কারণে এটি ঘটেছিল.

ম্যালওয়্যার অ্যাটাক থেকে কীভাবে সুরক্ষিত থাকবেন-

আপনার অপারেটিং সিস্টেম আপডেট করুন- আপনাকে নিয়মিতভাবে আপনার ইলেকট্রনিক ডিভাইস আপডেট করতে হবে. আপডেট প্রায়ই ডিভাইসের নিরাপত্তা এবং দুর্বলতা দূর করে. তাই আপনার ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলি নিরাপদ এবং সুরক্ষিত রাখার জন্য নতুন আপডেটগুলি কখনও উপেক্ষা করা উচিত নয়.

আপনি যে সফ্টওয়্যার ব্যবহার করেন না তা সরিয়ে ফেলুন- আপনি যে সফ্টওয়্যার ব্যবহার করেন না তা রাখা উচিত নয়. সমস্ত অ্যাপ দেখুন এবং যেগুলি আপনার আর প্রয়োজন নেই, সেগুলি সরিয়ে ফেলুন. কখনও কখনও ম্যালওয়্যার আপনার অজান্তেই সফ্টওয়্যার ইনস্টল করে; তাই, আপনাকে সবসময় আপনার অ্যাপ্লিকেশন লিস্টটি চেক করে রাখা উচিত.

আপনার ইমেলগুলি সম্পূর্ণভাবে পড়ুন- কোনও ইমেল পেলে সেই ইমেল অ্যাড্রেসটি আপনার সম্পূর্ণভাবে যাচাই করা উচিত. ইমেলে দেওয়া যে কোনও লিঙ্কে ক্লিক করার আগে প্রেরক নির্ভরযোগ্য কিনা তা যাচাই করুন. অনেক হ্যাকারই ইমেলের মাধ্যমে ভাইরাস, ম্যালওয়্যার, ট্রোজান ইত্যাদি পাঠায়. সুতরাং, সন্দেহজনক কোনও কিছুই এড়িয়ে যাবেন না.

ফায়ারওয়াল এবং অ্যান্টি-ভাইরাস প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন- যে কোনও ম্যালওয়্যার অ্যাটাক থেকে নিরাপদ থাকতে আপনাকে ফায়ারওয়াল, অ্যান্টি-ভাইরাস ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে. এগুলি আপনার ইলেকট্রনিক ডিভাইসে সুরক্ষার একটি স্তর যোগ করে. এছাড়াও আপনি বিভিন্ন ইন্টারনেট-ভিত্তিক ঝুঁকি যেমন পরিচয় চুরি, ম্যালওয়্যার আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকতে সাইবার ইনস্যুরেন্স কিনতে পারেন. এগুলি আপনার অনলাইন কার্যকলাপ নিরবিচ্ছিন্নভাবে চালাতে সাহায্য করতে পারে.

আরও দেখুন সাইবার ইনস্যুরেন্সের ফিচার